কলকাতা 

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ইভিএম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রথম দফার ভোট শেষ হওয়ার ১১ দিন পর এবং দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হওয়ার চারদিন পর হঠাৎই দ্বিতীয় দফার ভোট শসা শতাংশ বেড়েছে। আর এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, হঠাৎ করে ভোটের হার বেড়ে গেল কীভাবে? ইভিএম কারা তৈরি করে? চিপ কারা তৈরি করে? মমতা সাফ বলছেন, যেখানে যেখানে বিজেপির ভোট কম পড়েছে সেসব জায়গায় ভোট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রথম দুই পর্বের ভোটের হার প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম দফায় ৬৬.১৪% এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭১% ভোট পড়েছে। কীভাবে আচমকা ভোট গ্রহণের হার বেড়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কেনই বা প্রথম দফার ভোটের ১১ দিন বাদে আর দ্বিতীয় দফার চার দিন বাদে কত মানুষ ভোট দিয়েছে তা প্রকাশ করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রতিবার ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এবার তা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের উপর বিজেপির প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল ও বামেদের।

Advertisement

তৃণমূল নেত্রীর দাবি, কমিশনের আচরণ সন্দেহজনক। ভোটের হারে বৃদ্ধি মানুষের মনে সংশয় তৈরি করছে। মালদহের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “নির্বাচন আসলেই নানারকম মিথ্যা কথা শুরু হয়ে যায়। যেদিন প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হল, কমিশনের সূত্র ধরেই সব সংবাদমাধ্যমে লিখেছে কোথায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশনও সেটা জানিয়েছে। আমি গতকাল রাত্রে সাড়ে ৯টার সময় শুনতে পেলাম ৫.৭৫ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে যেখানে বিজেপির ভোট কম পড়েছে সেসব জায়গায় বাড়িয়ে দিয়েছে।”

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “এটা আমার সন্দেহ, এই সন্দেহ যাতে নাগরিকদের মনে না আসে, তাই নির্বাচন কমিশন সন্দেহ দূর করুক। বিজেপির কমিশন হয়ে বসে থেকে কোনও লাভ নেই। নিরপেক্ষ কমিশন হয়ে কাজ করতে দেখতে চায় ভারতের জনগণ। তাই আসল সত্যিটা কী তা জানাতে হবে মানুষকে। যাতে প্রতারণা না করা হয়।” মানুষের মন থেকে সংশয় দূর করতে কমিশনের কাছে একাধিক দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার দাবি, “নাগরিকদের সন্দেহ দূর করার জন্য ইভিএম মেশিন কারা তৈরি করেছে, মেশিনের চিপ কারা তৈরি করেছে, ভোটের হার বাড়ল কী করে, প্রথম দফায় কী ছিল, দ্বিতীয় দফায় কী ছিল, কত ভোটার ছিল? সেটা আমরা জানতে চাই। হঠাৎ করে বেড়ে গেল, ১৯ লক্ষ মেশিন মিসিং আছে অনেকদিন ধরে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি লোকের ভোট পাল্টে দিয়ে নিজেদের মেশিন ঢুকিয়ে দিচ্ছে।”

বস্তুত, ইভিএম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলে আসছে বিরোধী শিবির। তাছাড়া কমিশনের উপর মানুষের আস্থা যে কমছে সেটাও ভোটের নিম্নমুখী হারে প্রমাণিত। এই অবস্থায় হঠাৎ ভোটের হার বেড়ে যাওয়া যে সংশয় আরও বাড়াবে তাতে সংশয় নেই।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ